তিন তিরিক্ষে ভয়
মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
৩০০/-
আচ্ছা ধরুন, আপনি শত প্রচেষ্টার পরেও আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলেন না বা আপনি যেটা চাইছেন সেটা পেলেন না, তাহলে আপনি কী করবেন? হাল ছেড়ে দেবেন, না চেষ্টা করবেন? নাকি এমন কিছুর আশ্রয় নেবেন যা হয়তো নিষিদ্ধ! যে নিষিদ্ধ মার্গ অবলম্বনে আপনার চাওয়া-পাওয়ার তুষ্টি হয়তো ঘটবে, কিন্তু পরিবর্তে সে-ও কিছু নেবে আপনার কাছ থেকে। আর সেই নেওয়া... কী হতে পারে?
আমাদের জীবনের সবচাইতে ভালো অনুভূতি হল কাউকে ভালোবাসা। কিন্তু তার মধ্যেও কোথাও-না-কোথাও একটা ভয় কাজ করে। মানুষটি ছেড়ে চলে যাবে না তো? তার কোনো ক্ষতি হবে না তো, ইত্যাদি ইত্যাদি। এত সুন্দর একটা অনুভূতি-- তবুও ভয়কে সঙ্গে নিয়েই এগোয়। দেখতে গেলে, কোনো অনুভূতিই ভয় ছাড়া চলতে পারে না, কারণ ভয় সাবধান করে বুঝিয়ে দেয় যে সামনে বিপদ আছে। তবু এই সাবধানবাণী উপেক্ষা করে এগিয়ে যায় মানুষ কোন রহস্যের টানে? এমন কী রহস্য লুকিয়ে আছে এর মধ্যে, যে একটা মানুষকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে? ঠিক কতটা ভয় পেলে একটা মানুষ আত্মঘাতী হতে চায়? কোন অতিলৌকিক শক্তির মাধ্যমে বইয়ের শেষ পাতায় ছেপে ওঠে সেই সুইসাইড নোট?... অন্ধকারের অতল সমুদ্রে তলিয়ে যেতে চান? ছেলেবেলায় কাকা-জেঠুর মুখে শুনে আসা গা ছমছমে গল্পের পরিণত রূপ দেখতে চান? তাহলে হাতে তুলে নিয়ে দু-পাতা উলটেপালটে দেখুন, কীভাবে আপনাদেরই ভয়ের গল্পের ছেলেবেলা, দুই মলাটে ভয়ঙ্কর বড়োবেলার আখ্যানে পরিণত হয়ে উঠেছে।