যর্যাবর্তে কিছুকাল শিকারযোগ্য পশুর অভাব। বর্ষাগম বিলম্বিত। ক্রমে অস্তিত্বের সংকটের মুখে পড়তে থাকা এক জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যত কর্তব্যের রূপরেখা নির্ণয় করতে যুবক বভ্রুবর্ণ মুখোমুখি হয়েছে আবহমান কালের এক সত্যের। মানব সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে ক্রমে মানুষের আচরণে মলিন হতে থাকা প্রকৃতির এই ক্ষয়ের ঐতিহ্য কত পুরোনো কে জানে! আসন্ন বিপর্যয়ের আশু-সমাধানের নিবিড় অনুসন্ধান তাকে দাঁড় করিয়েছে আরও এক গোপন সত্যের মুখোমুখি। যর্যাবর্ত সহ সমগ্র আর্য সভ্যতার জীবনস্বরূপা নদী সরস্বতীর জল-উৎস অবরুদ্ধ করে রেখেছে কে এক মায়াশক্তিধর। এই সংকটমুক্তির একমাত্র উপায় জানেন মঘনব ইন্দ্র। অথচ তিনি বহুকাল আর্যাবর্তে অনুপস্থিত।
মঘবনের সাহায্যপ্রার্থনায় বভ্রুবর্ণ যাত্রা শুরু করে দুর্গম হিমবন্ত হয়ে মঘবনের দেশে। তার যাত্রাপথের নিবিড় আলোয় ফুটে ওঠে প্রকৃতি, মানুষ, নদী আর নক্ষত্রের অবিচ্ছেদ্য সব বন্ধনের ইঙ্গিত।
প্রাচীন বৈদিক সভ্যতার প্রেক্ষাপটে ঘটতে থাকা এই আখ্যানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নদী-সভ্যতার অবলুপ্ত কত বেদনার স্রোত, মানবসভ্যতার কত আলোছায়ার কাহিনি, উপকাহিনি, আবিষ্কার, যা আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
একাচেতৎ নদীনাং
তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ : অভিষেক মণ্ডল
৪৫০/-