আচ্ছা, আমরা ‘বাতিল’ কাকে বলি? আলমারির কোনও এক কোণে পড়ে থাকা ছোটো হয়ে যাওয়া একটা সোয়েটারকে নাকি টেবিলের পেনদানিতে পড়ে থাকা কালি ফুরিয়ে যাওয়া পেনগুলো? নাকি অনেকদিন আগে থেমে যাওয়া একটা দেওয়ালঘড়ি? আদতে ‘বাতিল’ ব্যাপারটাই আপেক্ষিক। কোনও এক শীতের দুপুরে কয়েকজন মানুষ যখন বাড়ির দুয়ারে পুরানো শীতবস্ত্র চায় অসহায় মানুষকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে, তখন আলমারির কোণে পড়ে থাকা ওই ছোটো হয়ে যাওয়া পছন্দের সোয়েটারটাই আমরা তাঁদের হাতে তুলে দিই অন্য অসহায় মানুষের উপকারের স্বার্থে। কিংবা কোনও গ্রীষ্মের দুপুরে বাড়ির পাশের গলিতে হেঁকে যাওয়া ফেরিওয়ালার ঝুলিতে অকেজো প্লাস্টিক রূপে তুলে দিই ওই কালি শেষ হওয়া পেনগুলো কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়া দেওয়াল ঘড়ি। কে জানে কালির রিফিল বদলে ওই পেনগুলো কোনও অসহায় পড়ুয়ার লেখার সাথী হবে না কিংবা ব্যাটারি বদলে ওই ঘড়িটা হবে না তার সময় দেখার সাথী? ‘বাতিল প্রশ্ন’ বইটির ভাবনাও কিছুটা সেই রকমই। অবসর সময়ে সংকলন করা যেসব প্রশ্নোত্তর আগে আলোচনা করেছি কোনও না কোনও কুইজের মঞ্চে, কিছু সংখ্যক কুইজপ্রেমীর কাছে সেসব প্রশ্ন ‘বাতিল’। কিন্তু তা অবশিষ্ট সিংহভাগ কুইজপ্রেমীদের পড়ার টেবিলে আনার জন্যই এই প্রয়াস। বাজারে প্রচলিত কুইজ বইগুলোর নামের সাথে এই নামটা ঠিক খাপ না খেলেও আশা করছি বইয়ের কনটেন্ট শেষ কথা বলবে।
বাতিল প্রশ্ন
অনির্বাণ মণ্ডল
২৫০/-