সময়ের ক্যানভাসে কল্পনা ও বাস্তবের রঙের আলো-ছায়ার খেলা এই উপন্যাস। আশির দশকের শেষের দিক থেকে একুশ শতকের মাঝামাঝি এই কাহিনীর পটভূমি। প্রেম ও ভালবাসার কাহিনীর সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে চলেছে তৎকালীন সামাজিক পরিস্থিতির কথকতা। এই কাহিনী এমন এক সময়ের কথা বলে যখন মোবাইল ফোনের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। টেলিফোন অথবা চিঠি লেখাই ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। টিভি খুললে সাদা-কালো দুইটি মাত্র চ্যানেল, ছিল না ডি টি এইচের রমরমা। তখন রবিবাসরীয় আড্ডা বসত পাড়ার রকে, ময়দানে বইমেলার ধুলো লেপটে থাকত মানুষের শরীরে ও মনে। স্কুল ছুটির পর পার্কে খেলা ছিল। অনলাইন গেম বা আন্তর্জালের ছিটে ফোঁটা নাম গন্ধ ছিল না কোথাও। মাল্টিপ্লেক্স কি? জানা ছিল না। ছাই রঙের পর্দায় ভেসে উঠত গুপী বাঘা। ছোটবেলার বুক দুরু দুরু করা প্রেম ছিল, FLAMES এর পাগলামি ছিল। নতুন বছরে রং-বেরঙের গ্রিটিংস কার্ড কেনার হুজুগ ছিল। প্লাস্টিকের মধ্যে লাল, নীল জল ভরা পেপসি ছিল, পাঁচ- দশ পয়সার অস্তিত্ব ছিল, ভগ্ন হৃদয়ের গঙ্গার পারে বসে হাপুস নয়নে কাএটি নিছকই প্রেমের গল্প নয়, এ কাহিনি শিশু থেকে পূর্ণবয়স্ক হয়ে ওঠার কাহিনী। কিশোর কিশোরীদের স্বপ্ন, স্বপ্নপূরণ ও স্বপ্নভঙ্গেরও কাহিনি। আটপৌরে, ছা পোষা যুগ থেকে তথ্য প্রযুক্তিময় সময়কালকে নানাধরনের ঘটনাপ্রবাহ সমেত দুই মলাটে আবদ্ধ করার চেষ্টা এ কাহিনি।
ছায়াপথ
না-বলা রূপকথারা (প্রথম ভাগ)
লেখা : সঞ্চারী চক্রবর্তী চ্যাটার্জী
প্রচ্ছদ : সৌমিত্র চ্যাটার্জী